ময়লাভিটার দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাচ্ছে আমিনপুর-গোকর্ণঘাটের জনগণ, ময়লা থেকে সার তৈরীর প্ল্যান্ট উদ্বোধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্রোগ্রাম্যাটিক সিডিএম- ২য় পর্ব” প্রকল্পের আওতায় কম্পোস্ট প্ল্যান্ট নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্ল্যান্ট কাজ শুরু করলে গোকর্ণঘাট থেকে পৈরতলা আসার সড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়দের আর পৌরবর্জ্যের দুর্গন্ধের দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।
মঙ্গলবার(৩০নভেম্বর)সকালে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে কম্পোস্ট প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল আমিন, পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর সচিব মোঃ শামসুদ্দিনসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন ও সূধীজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরে উৎপাদিত বর্জ্য নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা থাকবে না। উৎপাদিত বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে, যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি পৌর নাগরিকদের বর্জ্য নিয়ে ভোগান্তি কমবে।
পৌর সভার সচিব মোঃ শামসুদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও হোটেল রেস্তেরা এবং মহল্লা থেকে দৈনিক ৭০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় । পচনশীল এসব বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্রেগ্রম্যাটিক সিডিএম-২য় পর্ব” প্রকল্পের আওতায় কম্পোস্ট প্ল্যান্টটি নির্মিত হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্ল্যান্টের কাজ শেষে জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।