মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে……জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযদ্ধোদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।
অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গাজী মো. রতন মিয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ্, ডেপুটি কমান্ডার তাজুল ইসলাম, মরহুম সেবদার (অব.) শামছুল হক বীর প্রতিকের ছেলে মো. গোলাম কাউছার, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ বকস্ ভূইয়ার ছেলে এখলাছুর রহমান হান্নান, আবু তাহের বীর প্রতিকের ছেলে মো. মনছুর আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স ভবনসহ মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করেছে। পাশপাশি চাকুরি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বৃদ্ধি করে তা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, বীর সেনানীদের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। তাদের স্মৃতি কথাগুলো যদি নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে জানাতে পারি তাহলে তারা সত্যিকারের ইতিহাস জেনে দেশ গাড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে।
পরে আলোচনা শেষে ১০ জন খোতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সহ ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সংবর্ধনা স্বরূপ ফুলেল শুভেচ্ছ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াছমিন নাহার রুমা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণ্যমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।