ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ, যুবলীগ নেতা কারাগারে
মসজিদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা মুন্সি ও তফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৯ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারক এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত সোহেল রানা মুন্সি সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদ তার মামা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিলোকুট গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মুন্সি চিলোকুট মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তার বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে ২০১৯ সালের জুন মাসে তার ছেলে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা মুন্সিকে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মসজিদ ফান্ডের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেন সোহেল।
এজহারে আরও বলা হয়, মসজিদের আবারও নির্মাণকাজ শুরু হলে কমিটির লোকজন সোহেলের কাছে ফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন তিনি।
সর্বশেষ গত ২৫ জানুয়ারি কমিটির লোকজন টাকা ফেরত দিতে বললে মসজিদের পাওনা অর্থ অস্বীকার করেন সোহেল। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবালসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
এ বছরের ২৭ জানুয়ারি মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বাদী হয়ে সোহেল রানা মুন্সি ও তার মামা তফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদের বিরুদ্ধে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সদর মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিরা আপোষ করবে মর্মে আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও মসজিদের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা না দিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।