ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার কার্ড সংশোধন করতে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ



মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের আতিকুল ইসলাম নামে এক হতদরিদ্র যুবকের বয়স সংশোধন করাতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক আবেদ হোসেন। বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আতিকুল ইসলাম নামে ওই যুবক সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে তিনি তার বয়স সংশোধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরে এটি সংশোধন করতে নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে সেখান থেকে এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধন হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি কয়েকবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসে গেলেও তার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের কোন পথ খোঁজে পাচ্ছিলেন না। পুনরায় (০৭/১২) বুধবার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে। জেলা অফিসটির অফিস সহায়ক পদে কর্মরত থাকা মো. আবেদ হোসেন ওই ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করাতে ১৫ হাজার টাকা দাবী করেন। পরে বিষয়টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
জেলায় ভোটর আইডি সংশোধন করতে গিয়ে বিড়াম্বনায় পড়া রণি আহাম্মেদ,কুদ্দুস মিয়া, জহির মিয়া,জীবন মিয়া, সহ আরো অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, দিনে পর দিন জেলা নির্বাচন অফিসে ঘুরেও আমাদের আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারছি না। জেলা নির্বাচন অফিসে গেলেই অফিসের লোকজন সংশোধন করাতে মোটা অংকের টাকা খোঁজে। আমাদের সাথের অনেকই টাকা দিয়ে তাদের ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিয়েছেন। আমরা গরীব মানুষ, টাকাও দিতে পারি না আমাদের আইডি কার্ডও সংশোধন হয় না। এই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের এই ঝামেলা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান জানান, আতিকুল ইসলাম নামে অভিযোগকারি ওই ব্যক্তির আইড কার্ড সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। ঘুষ চাওয়ার কোন অভিযোগ থাকলে আমাকে সরাসরি জানান। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, ভোটর আইডি কার্ড সংশোধন করতে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া অফিস সহায়ক আবেদ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন।