ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার::এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে



এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও পুলিশের স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ নিরাপত্তা পোস্ট বা এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ জেলার সব থানা ভবন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে এলএমজি পোস্ট বসানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের একটি এলএমজি পোস্ট দেখা গেছে। থানা ভবনের পুলিশ ক্লাবের ছাদের ওপর বসানো ওই এলএমজি পোস্টে দুজন পুলিশ সদস্য এলএমজি নিয়ে অবস্থান করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের স্থাপনায় হামলা চালায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের স্থাপনাগুলোর নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে অত্যাধুনিক ও ভারী অস্ত্র দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা পোস্ট বসানো হয়েছে। এগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ ও পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর মডেল থানার ২নং পুলিশ ফাঁড়ি ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবনেও আগুন দেয়। তিনদিনের ওই তাণ্ডবের ঘটনায় শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন।