ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসতীরে মিনি বিশ্ব ইজতেমা শুরু
প্রতিনিধি:: অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে মিনি বিশ্ব ইজতেমা। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নজম বয়ান বা ইজতেমার নির্দেশনামূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও-কালিসীমা উচ্চ বিদ্যালয় ও চৌদ্দ মৌজার ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন খিলের মাঠ এলাকায় এ ইজতেমা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বিশ্ব ইজতেমা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সমর্থনে ঢাকার কাকরাইল মসজিদের অনুকরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের মিলন কেন্দ্র জেলা মারকাজ মসজিদের আহলে শূরা ইজতেমার আয়োজন করেছে। এ ইজতেমা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নজম বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ও আফ্রিকা মহাদেশের দাওয়াতি কাজের সমন্বয়ক মাওলানা আবদুল মতিন। তিনি বয়ানে বলেন, কালেমা আল্লাহর পক্ষে আমাদের জন্য নেয়ামত। এ কালেমার প্রধান বিষয় ইমান। আর ইমানের সুরক্ষাতেই ইজতেমার আয়োজন। ইজতেমা নতুন কোনো বিষয় নয়। রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকেই দাওয়াতি কার্যক্রম ও ইজতেমা শুরু হয়েছে। তবে তখনকার ধরন ছিল অন্যরকম। ভারতীয় উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের মাওয়ায় প্রথম ইজতেমা শুরু হয়। তিনি এ সময় ইজতেমার শানে-নজুলসহ স্বেচ্ছাসেবক ও ইজতেমায় অংশ গ্রহণকারীদের করণীয় সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন। বাদ আসর থেকে শুরু হয় আমবয়ান বা সব স্থরের মুসল্লিদের জন্য বক্তব্য। এ বয়ানে অংশ নেন তাবলিগ জামাতের বিশিষ্ট মুরুব্বি মাওলানা উমায়ের। বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদের অন্যতম প্রধান মুরুব্বি ও জিম্মাদার মাওলানা যোবায়ের আহমেদের বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের ইজতেমার সমাপ্তি ঘটে। বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমায় লোক সমাগম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইজতেমা মাঠে জনতার ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি জমায়েত হন ইজতেমা মাঠে।
কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা : কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে ইজতেমা প্রাঙ্গণ। জেলা পুলিশের পক্ষে এসপি, এডিশনাল এসপি, ৫ জন এএসপির নেতৃত্বে সাড়ে ৫শ’ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। অর্ধশত সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এলাকাজুড়ে। এছাড়া র্যাব ও বিজিবির দুটি করে টহল গাড়ি রয়েছে এলাকায়। তিতাস নদীতেও রয়েছে নৌ-পুলিশের টহল।
বিদেশী মেহমানরাও এসেছেন : তিতাসপাড়ের মিনি বিশ্ব ইজতেমায় জেলার ৯টি উপজেলার মুসল্লিদের বাইরেও ভারত, মালয়েশিয়া, ইথিওপিয়া ও মরক্কোর প্রায় ২৫ জন বিদেশী মেহমান উপস্থিত হন। তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। – See more at: http://www.jugantor.com/news/2015/12/04/17633#sthash.xPnpHFWg.dpuf