ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্লিনিকগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার রি-অ্যাজেন্ট সংকট



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্ট্রিপ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও তাদের আত্নীয়-স্বজনরা ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রি-অ্যাজেন্ট সংকটের কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খোঁজ নিতে গেলে বলা হয়—ডেঙ্গু এনএস-১ পরীক্ষার উপকরণ নেই, তাই পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংকটের কথা যতটা বলা হচ্ছে ততটা আসলেই নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিষ্ছুক এক রি-অ্যাজেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতাল-ক্লিনিকে যদি ডেঙ্গুর কোনো টেস্টই না করতে পারার কথা বলে, তাহলে বুঝতে হবে সেই প্রতিষ্ঠান ঠিক বলছে না বা অসৎ কোনো কিছু আছে। কারণ এনএস-১-এর উপকরণ ঘাটতি আছে। কিন্তু ডেঙ্গু শনাক্তকরণের জন্য এনএস-১-ই একমাত্র মাধ্যম নয়, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) থেকে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে উপসর্গ ধরতে পারেন এবং চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারেন। আর আমি খুবই নিশ্চিতভাবেই জানি যে দেশে সিবিসি টেস্টের উপাদান-উপকরণের কোনো সংকট নেই।’
প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালের একজন মালিক বলেন- চলতি সময়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও অনেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এতে সরকারের পাশাপাশি জেলার প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের সকল পরীক্ষা ৫০% ছাড়ে করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক থাকায় বেশির ভাগ রোগী স্বেচ্ছায় রোগ নির্ণয় করতে আসায় ডেঙ্গু পরিক্ষার কিট (স্টিপ) সংকট দেখা দিয়েছে। এতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে অন্য কে সচেতন করতে হবে। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।