Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কর্মশালা

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সুহিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন (বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর এনসিওর প্রোট্রেকশন এন্ড জাস্টিজ থ্রু ইনট্রিগ্রেটেড এ্যাপ্রোচ (ইপজিয়া) প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর খান দুলাল, সুহিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: রুমানা ভুইয়া।

এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তবে বলেন, শিশুদের সু-স্বাস্থের দিকে আমাদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে করে কোন শিশুর সার্বিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমরা যারা রয়েছি আমাদের বড় একটি দায়িত্ব হলো শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমরা সব সময় বাল্য-বিবাহের বিরুদ্ধে। শিশু বিবাহ বা বাল্য-বিবাহ যাতে করে কোন জায়গায় না হতে পারে সেদিকে সচেতন থাকবো। তিনি আরো বলেন বাল্য-বিবাহ একটি ব্যাধি, এই ব্যাধি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা পিতা-মাতোদের সচেতন করব এই বিষয়ে। সঠিক ভাবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করলে এই সমস্যা গুলো সমাজ থেকে দূর হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর খান দুলাল বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কাজ করার জন্য। আমাদের ইউপি সদস্য,শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা বা স্থানীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা মুলক সভার আয়োজন করতে হবে। বাল্য-বিবাহ দেওয়া আমাদের জন্য খুবই অন্যায় একটি বিষয় তাই আমাদের সবার এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন আমরা শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধের বিষয়ে সবাই সচেতন থাকবো এবং অন্যদেরকে ও এ বিষয়ে সচেতন করব।

সুহিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: রুমানা ভুইয়া বলেন, শিশুদের প্রতি আমাদের সচেতন হতে হবে,যাতে করে কোন শিশু অপুষ্টি জনিত কোন কারনে অসুস্থ্য বা মারা না যায়। মায়েদের উদ্দ্যেশ করে বলেন আপনাদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা অসুস্থ্য হলেই তাকে ডাক্তার না দেখিয়ে কোন প্রকার ঔষধ খায়ানো যাবে না। এতে করে শিশুর মৃত্যুর ঝুকি থাকতে পারে । বাল্য-বিবাহের বিষয়ে বলেন এটি একটি আমাদের সমাজের বড় সমস্যা। আমাদের সবার এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন বাল্য-বিবাহের ক্ষতিকর দিক গুলো সবার কাছে তুলে ধরতে হবে।

শিশুদের পরিচর্যা ও বাল্যবিবাহ বন্ধের কর্মশালার সঞ্চালনা করেন, ইপজিয়া প্রোগ্রাম অফিসার প্রবাল সাহা (অর্ক)। তিনি উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শিশু সুরক্ষা ও বাল্য-বিবাহের প্রতিরোধের বিষয়ে আমাদের সবার এক সাথে কাজ করতে হবে। শিশুদের যত্ন বা সুরক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে পিতা-মাতাদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মাসিক মিটিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন বাল্য-বিবাহ ভয়ানক একটি বিষয়। আমাদের বাল্য-বিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে, সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে বাল্য-বিবাহের কূফল বা ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও সমাজ থেকে বাল্য-বিবাহ দেওয়ার হার কমে আসবে। উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমরা সকলে নিজে সচেতন থাকবো ও অন্যদেরকে বাল্যবিবাহ বন্ধে সজাগ থাকতে সহযোগিতা করবো।






Shares