ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপূর্তমন্ত্রীকে সংবর্ধনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা দিচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আগামীকাল শনিবার বেলা ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন নগর বাউল জেমস।
মোকতাদির চৌধুরীর আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
বলা হয় ১৯৫৪ সালের পর এই প্রথম সদরের মানুষ একজন পূর্ণ মন্ত্রী পেয়েছেন। এর আগে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ও পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আনন্দ-উচ্ছ্বাস এখানে। আর আওয়ামী লীগ এর আগে ৪ বার সরকার গঠন করলেও মন্ত্রিত্ব ছিল না সদরে। অবশ্য বিএনপি’র সময় সদরে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এ আসন থেকে নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জনগণের মধ্যে একধরনের চাপা কষ্ট ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নবগঠিত মন্ত্রিসভায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পূর্নাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সেই কষ্ট লাঘব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী বলেছেন, এই সংবর্ধনাকে স্মরণীয় করে রাখতে চান তারা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে প্রায় ২০-২৫ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে বলেও জানান তিনি। মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও থাকবেন তাদের মধ্যে। মন্টু আরও জানান, ওইদিন বেলা ১২টায় জেলার প্রবেশমুখে আশুগঞ্জে মন্ত্রী মোকতাদিরকে বরণ করবেন তারা। এরপর অর্ধশত গাড়িবহরসহ তাকে নিয়ে জেলা সদরে সার্কিট হাউজে পৌঁছবেন। বিকাল ৩টায় গণসংবর্ধনা শুরু হবে। এতে জেলার বাকি ৫টি আসনের সংসদ সদস্যদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীও রয়েছেন। যদিও ওইদিন তিনি নিজেও তার এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে ৩ জন ফয়জুর রহমান বাদল, আলহাজ সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও মঈন উদ্দিন মঈন উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করেছেন বলে জানান মন্টু।