বাঁচিয়ে রাখা গেল না জোড়া মাথার সেই নবজাতককে
অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েও বাঁচিয়ে রাখা গেল না ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া দুই মাথাবিশিষ্ট (জোড়া মাথা) কন্যাশিশুটিকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সে। জন্মের চার দিনের মাথায় রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটি মারা যায়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢামেক নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
তিনি বলেন, শিশুটির দু’টি হৃদযন্ত্র (হার্ট) ছিল। হার্ট দু’টিতেই ছিদ্র ছিল। আরও বেশ কিছু রোগ ছিল তার। শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা গেল না শিশুটিকে।
গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলথ কেয়ার নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়। ওই দিন রাতেই শিশুটিকে ঢামেকে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা।
শিশুটির মায়ের নাম ফেরদৌসি বেগম (৩০)। বাবার নাম জামাল উদ্দিন। জামালের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা চৌমুহনী এলাকায়।
শিশুটির জোড়া মাথা হলেও হাত-পা ছিল দু’টি করে। মাথা ছাড়া শরীরের নিচের অংশ ছিল স্বাভাবিক শিশুর মতোই।