প্রথম আলোর সাংবাদিক শাহাদাৎকে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শাররীকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পৌর এলাকার কাজী পাড়ার রউফ মিয়ার ছেলে এবং জেলা সৈনিক লীগের আহবায়ক জুম্মানের ছোটভাই রোমান এ হামলা চালিয়েছে।
জানা যায়, হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন চালুর দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় স্টেশন চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। মানববন্ধনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন সংবাদ সংগ্রহের জন্য অন্যান্যদের সাথে সাংবাদিক শাহাদৎ স্টেশন চত্বরে যান।মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক শাহাদৎ জানতে পারেন মানববন্ধনে আসা এক যুবক জনৈক রেল কর্মচারিকে মারধর করেছে । সাংবাদিক শাহাদৎ বিষয়টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতাকে অবহিত করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হন সেই যুবক রোমান। এ সময় শাহাদাত নাকি রোমানের দিকে তাকিয়ে আছে এ অজুহাতে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ব্যাপরে আক্রান্ত সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন জানান, স্টেশনের গেইট কিপার মুরাদুল ইসলামকে মোঃ রুমান মারধর করেছে। এ বিষয়টি যুবলীগ নেতা হাসান সারোয়ারকে জানায়। তারপর সে আমার ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শাহাদতের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে জড়ো হন এবং এ ঘটনার তীবো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সাংবাদিকরা মোঃ রুমানের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন শোভনসহ নেতৃবৃন্দ প্রেস ক্লাবে এসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাদৎকে দেখতে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান।তিনি বলেন, বিষয়টি তদারকি করা হবে। কোনোভাবেই তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।