১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া আগমন
প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের গুরুত্ব কে তুলে ধরার জন্য এলিজার বাংলাদেশ ভ্রমণ
বাংলাদেশী বিশ্ব পর্যটক ও লেখক এলিজা বিনতে এলাহী বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনের গুরুত্ব কে তুলে ধরার জন্য ৪৩ তম জেলা পটুয়াখালী ভ্রমণ শেষে ১৪ এপ্রিল ২০১৯ , চট্টগ্রাম বিভাগের ৪টি জেলা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন ।১৪ই এপ্রিল তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সরেজমিনের ঘুরে দেখার পাশাপাশি লিখিত তথ্য, লোককথা, স্থিরচিত্র ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন তিনি ।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে “ কোয়েস্ট” (QUEST) নামক প্রজেক্ট এর আওতায় ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে ভ্রমন করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে হেরিটেজ পর্যটনের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন স্থানীয়দের । বাংলাদেশের ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া’র সহকারী অধ্যাপক এলিজা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের ৪৩টি জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত করেছেন। ৭ম বিভাগ চট্টগ্রামের প্রথম জেলা ব্রাহ্মনবাড়িয়া দিয়ে শুরু হবে ।
শিক্ষা ছুটিতে নেদারল্যান্ডস এর ‘দ্য হেগ ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়েড সায়েন্স’ এ অধ্যয়নরত এই পর্যটকের গবেষণার বিষয়ও ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’ । বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি ইতোপূর্বে এশিয়া ও ইউরোপের ৪৬ দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিভ্রমণ করেছেন। এশিয়ার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে রয়েছে তাঁর ২ টি প্রকাশনা, ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরী’ ও ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরী-২’ । এছাড়াও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ ও ‘এনটিভি অনলাইন’ সহ অন্যান্য পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন । এলিজা মনে করেন বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’ প্রসারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে ।
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে শিক্ষা – গবেষণার পাশাপাশি দেশে পর্যটনশিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন ।
২০ বছরের বিশ্ব ভ্রমনের যাত্রায় আমার নিজেকে সত্যিকার ট্রাভেলার মনে হয়েছে যখন আমি বাংলাদেশের কোনায় কোনায় গেছি । আমার দেশের সংস্কৃতি ,ইতিহাস , ঐতিয্য , মানুষ আমাকে যা আনন্দ দিয়েছে পৃথিবীর বড় বড় দেশ তা দিতে পারে নি । আমি দেখেছি গর্ব করার মত বিশ্ব মানের স্থাপনা আমাদেরও রয়েছে । প্রয়োজন শুধু সংরক্ষণ , রক্ষনা-বেক্ষন ও প্রচার প্রসারনা ।
৬৪টি জেলায় বৃহৎ পরিসরের কাজটি সম্পাদনের ব্যাপারে তিনি প্রশাসন, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি