Main Menu

পেছানো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। দলের ভোটারদের অনুরোধে অধিকতর প্রস্তুতির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলহাজ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এ তথ্য জানান।

২৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর এর প্রস্তুতি নিয়ে তৎপর ছিল বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা। এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড স্কুল মাঠকে। সফল করতে ৮টি উপকমিটি করা হয়। পাশাপাশি প্রচারণা শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এদিকে জেলা বিএনপির সম্মেলনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী জেলা বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করা এই সমাবেশে স্বচ্ছতার সঙ্গে জেলা বিএনপির সম্মেলন করার দাবি জানানো হয়। সমাবেশে কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলের শতশত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে এসে যোগ দেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।

এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। সভার শুরুতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক।

এই সভায় বক্তারা আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলন করার চেষ্টার সমালোচনা করে বলেন, ‘অস্বচ্ছতার মাধ্যমে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল অনুধাবন করে কেন্দ্রীয় নেতারা তা স্থগিত করেছেন।’ তিনি দলকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য দলের পরীক্ষিত, নির্যাতিত ও মাঠের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে দল গঠনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত সম্মেলন করতে একটি স্বচ্ছ চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ১৭ বছরের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই–বাছাই করে মূল্যায়নের অনুরোধ করেন।

জেলার ১৪ ইউনিটের মধ্যে ৫টি ইউনিটের সম্মেলন অসম্পন্ন রেখে এবং কোনো তফসিল ঘোষণা, প্রার্থীতার জন্যে ফরম বিতরণ, জমা-প্রত্যাহার এবং ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ না করে কীভাবে জেলার সম্মেলন হয় তা নিয়ে সভায় বিএনপির নেতারা প্রশ্ন তোলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন রিপন, সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন, কসবা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ইলিয়াছ, আখাউড়া বিএনপি নেতা আবুল মনসুর মিশন, সাবেক যুবদল নেতা মনির হোসেন, বিএনপি নেতা নিয়ামুল হক, শেখ ছাদির, নজির উদ্দিন আহাম্মদ, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী, মোস্তফা মিয়া, মোল্লা সালাউদ্দিন, ইকবাল খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজিদুর রহমান, রেজাউর রহমান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী আজম।