Main Menu

সাবেক সাংসদ এডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চুর সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি পরিষদের উদ্যাগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ¬¬¬

“জননেতা লুৎফুল হাই সাচ্চু ছিলেন বহুমাত্রিক রাজনৈতিক গুণের অধিকারী। তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যে অভিভাবকত্বহীনতা সৃষ্টি হয়েছিলো তা আজো পূরণ হয়নি”

+100%-

?

তিতাস নদীর উপর নির্মিতব্য সেতুর নাম লুৎফুল হাই সাচ্চুর নামে নামকরণ করার দাবী

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ৩নং সেক্টরের গেরিলা উপদেষ্ঠা, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিশ্বস্তরাজনৈতিক সহচর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি এডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চুর সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চু স্মৃতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহ্ফিল (২২ নভেম্বর ২০১৭ইং রোজ বুধবার বিকেল ৪টায়) এডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৌলভীপাড়াস্ত বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থান গেরিলা কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা, মরহুমনেতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিকসহচর বীরমুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল আলম (এমএসসি)।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা নাগরিক সমাজ এর সভাপতি আলহাজ্ব তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস মিনারা আলম।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মরহুম নেতার ছোট ভাই সাবেক যুগ্ম সচিব নাজমুল হাই সানী, মরহুম সাংসদের ভগ্নীপতি প্রকৌশলী সামছুল আলম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, ছোট ভাই মনোয়ারুল হাই (মামুন)। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান আনসারী, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ কাউছার আহমেদ, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল প্রমুখ। ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ নেতা সাদাত মোঃ সায়েম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি।

সভায় বক্তগণ বলেন “জননেতা লুৎফুল হাই সাচ্চু ছিলেন বহুমাত্রিক রাজনৈতিক গুণের অধিকারী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ছিলো গৌরবচিত ভূমিকা। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য ও ছাত্ররাজনীতি করা এই নেতা বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন থেকে শুরু করে, আওয়ামীলীগের নীতি-আদর্শ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কাজ করেছেন”। বক্তাগণ আরো বলেন “উচ্চ শিক্ষিত ও উচ্চ পদধারী হয়েও জননেতা লুৎফুল হাই সাচ্চু ছিলেন নিরহংকারী। দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে মিশতেন বন্ধুবৎসল ভাবে। জীবতদশায় রাজনীতিতে বিপদ সংকুল পথ ও কঠিন মুহুর্ত পারি দেওয়া এই নেতার তার জীবনাচারণ-আদর্শ রাজনীতিবীদ ও সাধারণ মানুষের কাছে এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সৎ, নিষ্ঠাবান, দলীয় শৃংখলা-ঐক্যর প্রতিক লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যে অভিভাবকত্বহীনতা সৃষ্টি হয়েছিলো তা আজো পূরণ হয়নি” বলে বক্তাগন অভিমত ব্যক্ত করেন।

বক্তাগণ মরহুম নেতার স্মৃতি রক্ষায় তিতাস নদীর উপর নির্মিততব্য সেতুর নাম লুৎফুল হাই সাচ্চুর নামে নামকরণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান। এসময় উপস্থিত বিপুল সংখ্যক জনতা হাত তুলে এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান। পরে মরহুম নেতার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন পোস্ট মসজিদের ইমাম মাওঃ মোঃ আব্দুল বাছির।

এর আগে সকালে স্মৃতি পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মরহুম নেতার গ্রামের বাড়ি সোহাতায় অবস্থিত মরহুমের কবর জেয়ারত ও কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোরআন খানি ও বিভিন্ন মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান সুমুহে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সমাগম হয়।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণমানুষের প্রিয় এই নেতা।