জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে — আল মামুন সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদীর স্থান হবে না। জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী ইসলামের শত্রু, দেশ ও জাতির শত্রু। বহু ত্যাগে অর্জিত এ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত্র মূলক শাস্তি দেয়া হবে। জঙ্গিবাদে জড়িত, আশ্রয়দাতা প্রশ্রয় দাতা ষড়যন্ত্র কারী কারো কোন ছাড় নেই। জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠানকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশে জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মোহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ হাবিবুল্লাহ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধর্ম নয়। ইসলামে কোন জোর জবরদস্তি নেই। মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে ঘোষণা করেছেন, “অন্যায়ভাবে কেউ কাউকে হত্যা করলে (যে কোন ধর্মের) সে যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে হত্যা করারর পাপ করলো। এবং পরকালে চিরস্থায়ী জাহান্নাম অর্জন করলো।”
তিনি বলেন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল, এ দেশের সকলের মাঝে সম্প্রীতি রাখতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়া মুসলমানদের দায়িত্ব। জিহাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করা, সন্ত্রাস করা জেহাদ নয়, বড় জিহাদ নিজেকে অন্যায় জুলুম হত্যা সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করা, ছোট জেহাদ হচ্ছে রাস্ট্র ও ইসলামকে রক্ষা করা। তিনি আরো বলেন, খুৎবার পূর্বে প্রত্যেক মসজিদে ইমামগণের ইসলামের দৃষ্টিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে বয়ান করা উচিত। তিনি সন্ত্রাস দমনে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বস্তরের নাগরিকগণের প্রতি আহবান জানান। এবং পরিশেষে মানববন্ধনে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এদিকে সকালে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জেলা নাগরিক কমিটির নেতা কর্মীরা এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে সমবেত হয়। শত শত নাগরিক প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয়।