ঘাটুরায় যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকারের বিরুদ্ধে আ’লীগের নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ



জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মহসিন খন্দকারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনোয়ারার ছেলে নাদিম খন্দকারও আহত হয়েছেন। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আনোয়ারা বেগমের ছেলে জনি খন্দকার জানান, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচা কালু খন্দকার ও চাচাতো ভাই মহসিন খন্দকারের সাথে তাদের বিরোধ চলছে । কালু খন্দকার ও মহসিন খন্দকার জায়গা লিখে দেয়ার জন্য তাদেরকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মহসিন খন্দকারের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারা ও জনি এবং নাদিম আহত হন।
তবে যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আনোয়ারার স্বামী মৃত্যুর আগে তার ছোট ভাই কালু খন্দকারের কাছে জায়গা বিক্রি করে যান। আমরা আনোয়ারাকে বলেছি যেহেতু জায়গা বিক্রি করে গেছে তাই জায়গাটি দলিল করে দেয়ার জন্য। এ নিয়ে শুক্রবার আনোয়ারার বাড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে জায়গাটি দলিল করে দেয়ার রায় হয়। কিন্তু রায় না মেনে আনোয়ারা ও তার দুই ছেলে চেয়ার ছুড়ে মেরে ফেলে দেন। পরে হাতাহাতি হলে আমিও ব্যথা পাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।