Main Menu

গান-বাজনা ও নারী দর্শকে আপত্তি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সমাবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা

+100%-

concertব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা ও নারী দর্শকের অংশগ্রহণে আপত্তি জানাচ্ছে স্থানীয় আলেম সমাজ। এ কারণে এই অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন আয়োজকেরা।
১৬ এপ্রিল জেলা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক সংগঠন খেলাঘরের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আয়োজক সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নামকরা অতিথিদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। শুরুতে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ এলাকা থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। পরে ‘মাদককে না বলো’ শপথপাঠ। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
আয়োজকেরা জানান, অনুষ্ঠানের আয়োজনকে কেন্দ্র করে আলেমদের বাধার কারণে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ পর্যন্ত সাত থেকে আটবার আলোচনা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে আলোচনা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠন খেলাঘরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা ও ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুনিরুজ্জামান সিরাজী প্রথমে নারী শিল্পী রাখার বিষয়ে আপত্তি জানান। আমরা নারী শিল্পী বাদ দিই। এখন নারী দর্শকেরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে আপত্তি জানান তাঁরা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সিরাজী বলেন, ‘মাদকবিরোধী সমাবেশ ভালো কাজ। কিন্তু মেয়েদের অংশগ্রহণে কনসার্টের আয়োজন ইসলামের শরিয়ত পরিপন্থী। তাই জেলার সব আলেম ও মুরব্বি এই কনসার্ট আয়োজনে বাধা দিয়েছেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা ও সমাবেশে আমাদের পক্ষ থেকে বাধা নেই। তবে গান-বাজনা ও কনসার্ট না করতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।’
এসপি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ সময়ে ওই অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব না।’ আলেমদের বাধায় শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হুজুরেরা প্রকাশ্যে কোনো বাধা দেননি। তবে আয়োজকদের অনুষ্ঠানটি পেছানোর জন্য বলা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এ বিষয়ে কিছু জানি না।’সূত্র:: প্রথম আলো






Shares