অলিখিত ১৮ মিনিটের অধিক সময়কালের ভাষণে মুক্তিযোদ্ধা এবং জনগণের আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন —জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চেল ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল” এর অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ অসামান্য অর্জনে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে এ দেশের শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে গতকাল ৭ই মার্চ বুধবার দুপুর ২টায় জেলা পরিষদ চত্বরে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ” ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল ৪টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহ্ফুজা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার, সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। আলোচনা সভাশেষে সঙ্গীত পরিচালনা করে পাপিয়া চৌধুরী, বেহেলায় ওস্তাদ শামসুদ্দিন খাঁ, তবলায় বাবুল মালাকার। নিত্য পরিচালনা করেন আল সাইফুল জিয়া আমিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, অলিখিত ১৮ মিনিটের অধিক সময়কালের ভাষণে মুক্তিযোদ্ধা এবং জনগণের আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই ভাষণটি ইউনেস্কোর আর্ন্তজাতিক ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে দেশ গড়ার সংগামে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
আলোচনা সভাশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।