শিক্ষাকে অভিভাবক শিক্ষকরা দায়িত্ব সহকারে হাতে নিলে সু-শিক্ষা নিশ্চিত হবে-জেলা পরিষদ প্রশাসক
জেলা কিন্ডার গার্টেন সংস্থার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রশাসক এমদাদুল বারী
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ প্রশাসক এডঃ সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারাদেশে ব্যক্তি মালিকানায় কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোর অবদান অপরিসীম। কিন্ডারগার্টেন এর আধুনিক পদ্ধতির শিক্ষাদান কার্যক্রমের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মান সম্মত পদ্ধতিতে লেখাপড়ায় প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বাস্তবমুখী শিক্ষা। তিনি বলেন, অভিভাবক শিক্ষক, ছাত্র- ছাত্রী এই ৩টি একত্র করতে পারলে জাতির ভবিষ্যৎ সুশিক্ষা অর্জন সম্ভব। এজন্যে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরও বেশি সচেতন হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষাকে অভিভাবক শিক্ষকরা দায়িত্ব সহকারে হাতে নিলে সু-শিক্ষা নিশ্চিত হবে। জাতির ভবিষ্যৎ উন্নতি হবে। গতকাল ৯ মে দিনব্যাপী সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সরোদমঞ্চে জেলা কিন্ডারগার্টেন সংস্থা আয়োজিত ২০১৪ সালের পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল ও বিভিন্ন গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত জেলার ২৯০জন কৃতি শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডঃ সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী সকলের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেন। তিনি জেলা পরিষদের তহবিল হতে জেলা কিন্ডারগার্টেন সংস্থাকে অনুদান প্রদানের আশ্বাস দেন।
লালপুর নুরুল হক আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ শামসুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার নিপুন হোসাইন, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদক আবদুল মান্নান সরকার, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান ও চলন্তি কিন্ডার গার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রোকেয়া রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কিন্ডারগার্টেন সংস্থা বৃত্তি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক মোঃ সফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে পাপিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে শিশুরা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে। কিন্ডারগার্টেন সংস্থার বিভিন্ন এলাকা হতে আগত শিক্ষক ও পরিচালকগণ অনুষ্ঠান সফল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেন। বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীরা মা বাবা এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। অতিথিগণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করে তাদের হাতে সনদপত্র, সম্মাননা ক্রেষ্ট, পদক ও স্মরণিকা আয়না তুলে দেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়।