জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় ৯ দিনব্যাপী ভূবন মঙ্গল কীর্তন উৎসবের আজ সমাপনী
জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির উদ্যোগে হালদারপাড়াস্থ আনন্দময়ী কালীবাড়ীতে আয়োজিত ৯দিনব্যাপী ৬৩তম বাৎসরিক হিন্দু ধর্মীয় উৎসব এর আজ সমাপনী। বিগত ১৩৬১ বঙ্গাব্দে এই উৎসব শুরু হয়।কর্মসূচী অনুসারে গত সোমবার ভূবন মঙ্গল কীর্তন উৎসবের সপ্তম দিবসে সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত নাট মন্দিরে তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হয়। সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করেন শ্রীমঙ্গল হতে আগত ভাগবত রত্ন ডাঃ বরুন চন্দ্র রায় এবং পরে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ধর্মীয় আলোচনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষক পংকজ কুমার রায়। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত সমাগত ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির সভাপতি পিনাকী ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আশীষ পাল ও সহ- সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায়। রাত ৯টার পর হতে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তনের শুভ অধিবাস পরিবেশন করেন চাঁন মোহন রায়, রনজিৎ সূত্রধর এবং স্থানীয় ভক্তবৃন্দ। গতকাল অষ্টমদিবস মঙ্গলবার ভোর হতে সারারাত হয়ে আজ ভোর পর্যন্ত অষ্টপ্রহর ব্যাপী পর্যায়ক্রমিক তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ এবং গোপালগঞ্জ হতে আগত নিত্যানন্দ সম্প্রদায়, সুমহন্ত সম্প্রদায়, জয়গুরু সম্প্রদায়, কুলেশ্বরী সম্প্রদায়, নর নারায়ন সম্প্রদায়।অষ্টপ্রহর ব্যাপী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন শেষে আজ সমাপনী দিবসের ভোরে কীর্তনীয়া দল সমূহের সমন্বয়ে ভক্তবৃন্দ ও ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতি নেতৃবৃন্দ সদস্যদের অংশগ্রহণে নগরকীর্তন শেষে দধি মঙ্গল অনুষ্ঠিত হবে। দ্বি- প্রহরে মহাপ্রভুর ভোগরাগ, দুপুর ২টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে। রঞ্জিৎ বিশ্বাস, শ্যামল, বিজয় এর সমন্বয়ে প্রতিদিন দুপুরে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সোমবার দুপুরে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়। কীর্তন সমিতির নেতৃবৃন্দ বিগতকালের উৎসব পরিচালনাকারী শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিগণের নাম স্মরণ করে সুষ্ঠুভাবে ৯দিনব্যাপী উৎসব উদযাপনে সহযোগিতা করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)