Main Menu

ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির ৯দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব চলছে

+100%-

জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায়

জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির আয়োজনে হালদারপাড়াস্থ ঐতিহ্যবাহী আনন্দময়ী কালীবাড়ীতে বিগত ১৩৬১ সালে শুরু হওয়া ধর্মীয় কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় ৬৩তম বাৎসরিক হিন্দু ধর্মীয় উৎসব চৈত্র সংক্রান্তির দিন গত ৩০ চৈত্র মঙ্গলবার ১৪২১ বঙ্গাব্দ ১৪ এপ্রিল ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ হতে সারম্বরে শুরু হয়েছে। আগামী ৮ বৈশাখ ১৪২২ বঙ্গাব্দ ২২ এপ্রিল ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ বুধবার উৎসব সমাপন হবে।
ভূবন মঙ্গল কীর্তন সমিতির গৃহিত কর্মসূচী অনুসারে প্রথম দিবসে মঙ্গলবার রাত ৭টায় শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করেন শিক্ষক রঘুনাথ দাস। রাত ৮টায় গৌর আহ্বান পরিবেশন করেন ভক্ত প্রবর চাঁন মোহন রায়, রনজিৎ সূত্রধর ও স্থানীয় ভক্তবৃন্দ। ২য় দিবসে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ এবং ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন ডাঃ শ্যামল দাশ গুপ্ত, শিক্ষক পংকজ কুমার রায় ও সুদর্শন ভট্টাচার্য্য, সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন এবং রাত ৯টার পর হতে ১১ টা পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হয়। তৃতীয় দিবসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন পণ্ডিত গোপীনাথ সূত্রধর এবং ডাঃ নিত্যরঞ্জন চক্রবর্তী। উদয়াস্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও রাত ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হয়। চতুর্থ দিবসে শুক্রবার সন্ধ্যা হতে রাত ৯টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন পণ্ডিত গোপীনাথ সূত্রধর এবং শিক্ষক রঘুনাথ দাস। সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও রাত ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হয়। গতকাল পঞ্চম দিবস শনিবার সন্ধ্যা হতে রাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন প্রভুপাদ জয়ন্ত কুমার গোস্বামী এবং বিমল দাস গোস্বামী। সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত তারকব্রহ্ম হরিণাম সংকীর্তন ও রাত ৯টার পর হতে ১১টা পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হয়। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক ভক্ত নারী পুরুষ এতে অংশ নেন। আজ ষষ্ঠ দিবসে রবিবার সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন, সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেবেন প্রভুপাদ জয়ন্ত কুমার গোস্বামী এবং শ্রী হরিআনন্দ মহান্ত মহারাজ। সপ্তম দিবস সোমবার সূর্যোদয় হতে অস্ত পর্যন্ত তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন, সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনা অংশ নেবেন ডাঃ বরুন চন্দ্র রায় এবং শিক্ষক পংকজ কুমার রায়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন উৎসব পরিচালনায় ভূবনমঙ্গল কীর্তন সমিতির সভাপতি পিনাকি ভট্টাচার্য্য ও সম্পাদক আশীষ পাল। রাত ৯টার পর হতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তনের শুভ অধিবাস পরিবেশন করবেন চাঁন মোহন রায় ও রনজিৎ সূত্রধর সহ স্থানীয় ভক্তবৃন্দ। অষ্টম দিবস মঙ্গলবার অষ্টপ্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশিত হবে। প্রতিদিন হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশনে অংশ নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ এবং গোপালগঞ্জ হতে আগত কীর্তনীয়া দল সমূহ। শেষ অর্থাৎ নবমদিন ভোরে নগরকীর্তন ও দধিমঙ্গল, দ্বিপ্রহরে মহাপ্রভুর ভোগরাগ, দুপুর ২টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাপ্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে শ্যামল চন্দ্র সাহা, রঞ্জিত শীল সুশৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবক দল পরিচালনা করছেন। সমিতির যুগ্ম সম্পাদক পরিতোষ রায় সকল কর্মসূচীতে ভক্তদের আরও বেশি অংশগ্রহণ কামনা করেছেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)






Shares