Main Menu

দুই দল শিক্ষকের সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের তাণ্ডব:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নজিরবিহীন পরিস্হিতি

+100%-

২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়’-এর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই দল শিক্ষকের মধ্যে সংঘর্ষে দুই ছাত্র-শিক্ষকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। এসময় ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। গুরুতর আহত এক ছাত্রকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু বকরের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। সহকারি প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালও নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবি করেন। আজ সকাল ১০ টার দিকে আবু বকর দুই সহকারি শিক্ষককে শ্রেণীকক্ষে যেতে বারণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মোস্তফা কামাল। এই নিয়ে বিবাদমান দুটি পক্ষের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের মাঝে ঢিলাঢিলি শুরু হয়। এতে দুই ছাত্রসহ ও তিন শিক্ষকসহ পাঁচজন আহত হয়।

গুরুতর আহত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মো. রিফাতকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে ছাত্র আহত হবার ঘটনায় সকল ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে এসে ছুটি ঘোষণা করে এবং শিক্ষক আবু বকরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যায়।


পূর্বের খবর ::০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত

অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের মেয়াদোর্ত্তীন প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে। সহকারি প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের ক্লাশ বর্জন কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যানের পক্ষে বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমেশকর চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্বারক নং কমিটি/০৩/বিবি/৬৩০(৮), তারিখ ১/৯/২০১৪ইং পত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনার স্বার্থে দ্রুত এডহক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।


গতকাল মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ আশরাফুল আলম, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্লাহ, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য বিদ্যালয়ে গিয়ে বোর্ড কর্তৃক পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করার কথা শিক্ষকদের অবহিত করেন। এসময় উল্লেখিত কর্মকর্তাগন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেমের বয়স ৬০ বছর পূর্ন হওয়ায় সরকারি বিধিমোতাবেক তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। উল্লেখিত কর্মকর্তাগন শিক্ষকদের বকেয়া বেতন ভাতার পাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বললে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাশ বর্জনের কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।


এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ ইতিপূর্বে শেষ হয়ে যাওয়ায় বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন এসে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি বলেন স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য এডহক কমিটি গঠন করা হবে।


এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার বলেন, কুমিল্লা বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এডহক কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা স্কুলের শিক্ষকদের তাদের বকেয়া বেতন-ভাতার পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্থ্য করলে তারা তাদের অর্নিদিষ্টকালের ক্লাশ বর্জনের কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব  প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেমের সাথে কথা বলার জন্য কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেমের বয়স ৬০ বছর পূর্ন হওয়ায় সরকারি বিধিমোতাবেক তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে যায়। এর পরও তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে দিয়ে প্রথমে দু’বছর চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে দিয়ে পুনরায় চাকুরীর মেয়াদ আরো ২ বছর বৃদ্ধি করে তা অনুমোদনের জন্য কুমিল্লা বোর্ডে পাঠালে বোর্ড কর্তৃপক্ষ অনুমোদন না দিয়ে তাকে ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করে বোর্ডকে অবহিত করার জন্য গত ৩ মার্চ চিঠি দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বোর্ডের চিঠির কর্ণপাত না করে দায়িত্ব অব্যাহত রাখলে গত সোমবার কুমিল্লা বোর্ড বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্যদ বাতিল করেন।






Shares