Main Menu

১৪৪ ধারা ভঙ্গ :আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরোধপূর্ন জায়গা দখলের অভিযোগ

+100%-

শামীম উন বাছির:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের কালীসীমা গ্রামের একটি বিরোধপূর্ন জায়গা আওয়ামীলীগ নেতারা দখল  করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল ১০টায় নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নূরুল আমিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজুর নেতৃত্বে  দখলবাজরা বিরোধপূর্ন জায়গাটি দখল করে নেয়। পরে দখলকৃত জায়গায় মার্কেট করার জন্য স্টেন্স ( নেউ) কাটা শুরু করে। জায়গাটি দখল করার সময় জায়গার মালিক দাবিদার ইদ্রিস মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে বাড়িতে অবরোধ করে রাখা হয়। এ ঘটনায় গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে গত সোমবার সকালেও দখলবাজরা জায়গাটি দখল করার জন্য চেষ্টা করে।
জায়গার মালিক দাবিদার মোঃ ইদ্রিস বলেন, জায়গাটির মালিকানা নিয়ে গ্রামের একটি পক্ষের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এই জায়গার ওপর আদালতের ১৪৪ ধারাও জারি আছে। কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই গত সোমবার আওয়ামীলীগের নেতারা তাদের দলবল নিয়ে জায়গাটি দখল করার চেষ্ট করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে দখলবাজদের বাঁধা দিয়ে চলে  যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নূরুল আমিন, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এবং ইউপি সদস্য মোঃ আরজুর নেতৃত্বে দখলবাজরা জায়গাটি দখল করে  মার্কেট করার জন্য স্টেন্স ( নেউ) কাটা শুরু করেন। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার জায়গাটি দখল করার সময় দখলবাজরা তার পরিবারের সদস্যদেরকে ঘরে অবরোধ করে রাখে ও তার পরিবারের কয়েক সদস্যকে মারধোর করে।
ইদ্রিস মিয়া আরো বলেন, কালীসীমা গ্রামে গোকর্ণঘাট-নবীনগর সড়কের পাশে তার  নিজ বাড়ির সামনে ৩ শতক জায়গায় ১৯৯৬ সালে তিনি ১০ টি দোকান কোঠা  নির্মান করেছিলেন। গত কয়েক মাস আগে প্রতিপক্ষের লোকজন দোকান গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসা,কলেজের উন্নয়নের নাম করে জায়গা দখল করে নতুন করে মার্কেট করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে তারা।  তিনি বলেন, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে গত কয়েক মাস ধরে জায়গাটি তারা দখল করার ঘোষনা দেয়। এ ঘটনায় ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া মেম্বার ও মেয়ে জামিলা বেগম থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার মামলাও করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম বলেন এটি গ্রামের জায়গা। গ্রামবাসীই জায়গাটি দখল করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র  মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, জায়গাটি নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। সদর সংসদ সদস্যের নির্দেশে আমরা এর নিস্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে একটি পক্ষ জায়গাটি দখল করে মার্কেটের নির্মান করার জন্য নেউ কাটছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন আমি ঢাকায় আছি, ঘটনাটি শুনেছি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন জায়গাটিতে আগে থেকেই ১৪৪ ধারা রয়েছে। দখলের খবর পেয়ে আমরা সেখানে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু পুলিশ গিয়ে কাউকে পাচ্ছেনা। পুলিশ চলে এলেই আবার দখল করা হয়।






Shares