শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক শিশুকেই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে-মেয়র মোঃ হেলাল
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) ও ইনএ্যাকটিভেটেড পোলিও ভ্যাকসিন (আইপিভি) টিকাদান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এক এডভোকেসি সভা গতকাল সকালে পৌরসভার মাহবুবুল হুদা সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপত্তিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন। সভায় পিসিভি ও আইপিভি টিকাদান কর্মসূচির গুরুত্ত ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন, পৌর সচিব মোঃ ইসহাক ভূঞা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বি.কে দত্ত, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক, টিএলসিসির সদস্য এ. কে.এম. বেলাল হোসেন। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডি.এম.সি.এইচ ডা. মাহবুবা সুলতানা, সভা পরিচালনা করেন পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এ.কে.এম. মোঃ রেজাউল করিম ভূইয়া। সভায় মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, পোলিও নির্মূল অভিযানের সাফল্যের সূত্র ধরে বর্তমানে বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহের মত বাংলাদেশেও শিশুদের বিভিন্ন রোগের ফলে মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে পর্যাক্রমে রোগ নির্মূলের জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ততার সাথে কাজ করছে। শিশুদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। যার প্রেক্ষিতে ১এপ্রিল থেকে পিসিভি ও আইপিভি নামে আরো দুইটি টিকা অন্তর্ভভুক্ত করা হয়। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক শিশুকেই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। মেয়র সমাজের সকলকেই এই টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কার্যকর ভুমিকা রাখার আহবান জানান। পরে মেয়র টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পৌর এলকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও টিএলসিসির সদস্যগণ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ০ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১০টি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিসিজি, পেন্টাভ্যালেন, হাম-রুবেলা, হাম, পিসিভি ও আইপিভি টিকা গ্রহন করতে ৬ বার টিকা কেন্দ্রে আসতে হবে। পৌর এলকার ৮টি স্থায়ী ও ২৪টি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নার্স, পৌর টিকাদান কর্মী, এনজিও ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে আসছেন।প্রেস রিলিজ