Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস

+100%-

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ। এ উপলক্ষে গতকাল ১৭মার্চ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্নাঢ্য শোভাযাত্রায় কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নেতৃত্বে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীগণ অংশ গ্রহন করে। শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূস্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে সকাল ১১ টায় কলেজের লেকচার থিয়েটার হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হানিফ। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রাজ্জাক মীর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ আকবর হুছাইন ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মহরম আলী, সহকারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ, প্রভাষক মোঃ আব্দুর রহমান মোল্লাহ, প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ নাছির উদ্দিন, প্রভাষক মোঃ আক্তারুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তিতায় প্রফেসর মোঃ হানিফ বলেন, ২৩ বছর পাবিস্থানী শাসক গোষ্ঠি আমাদের শাসনের নামে শোষন করেছে। তারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃৃতির উপর আঘাত করেছে। তাই বাঙ্গীল স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের স্বাধীনতার প্রয়োজন ছিল। আমাদেরকে স্বাধীনতার সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমাদের এই দেশ হয়তো স্বাধীন হতো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। যে দেশের মানুষ একদিন শিক্ষিত, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথাউচু করে দাড়াবে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ছাত্র ছাত্রীদেরকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। এই জন্য তিনি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ভাবে লেখা পড়া করে দেশের যোগ্য নাগরিক হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন বঙ্গবন্ধু যে শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে চেয়ে ছিলেন, তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষানা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শিশুরা দেশের ভবিষ্যত। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব  ভালো বাসতেন। তাই শিশুদের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমাদের সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ অতিথি সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটি শিশুকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও নীতির শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই দেশ একদিন উন্নত ও আর্দশ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য পরিবার থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও নীতির চর্চা শুরু করতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। আলোচনা সভা শেষে  অতিথিবৃন্দ “বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” শির্ষক রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান এবং কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি






Shares