Main Menu

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দ্বিধাদ্বন্দ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে

+100%-

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ট অর্জন। ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি যদি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন না করত তাহলে পৃথিবীর মানচিত্র ও ইতিহাস থেকে আমাদের নাম চিহ্ন মুছে যেত। তিনি বলেন যারা জীবন বাজি রেখে আমাদের স্বাধনতা এনে দিয়েছেন সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এ জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। তাদের কে আমাদের সারাজীবন মনে রাখতে হবে। সম্মান করতে হবে। মোকতাদির চৌধুরী এমপি গতকাল সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ৭১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে উপরক্ত কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি চক্র এদেশের মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে চেয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের সেই অপচেষ্টা এখনও চালু আছে। তিনি নতুন প্রজম্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দ্বিধাদ্বন্দ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক এডঃ সৈয়দ এ.কে.এম.এমদাদুল বারী, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রজ্ঞন ঘোষ, যুদ্ধকালিন কমান্ডার (মুজিব বাহিনী), ১৪ দলের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু, যুদ্ধকালিন মেঘনা ক্যাম্প চীফ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হামিদুর রহমান, যুদ্ধকালিন তিতাস ক্যাম্প চীফ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম। সভায় সভাপতিত্ব করেন সেক্টর কমান্ডারস জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির ফোরাম-এর সভাপতি হারুন অর রশিদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার গাজী মোঃ রতন মিয়া, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আর্চায্য। সভা পরিচালনা করেন সংস্কৃতি কর্মী হাবিবুর রহমান পারভেজ।






Shares