Main Menu

ভূমি সংক্রান্ত জের ::অপমান সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

+100%-

নিজস্ব প্রতিনিধি::ভূমি সংক্রান্ত জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে ট্রেনের নীচে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ সন্তানের জননী আমেনা বেগম নামে এক গৃহবধু।
গত ২০ জানুয়ারি গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আমেনা বেগমের মা সদর উপজেলার নরসিংসার গ্রামের মৃত আবু শ্যামার স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির এফআইআর নথিভূক্ত করে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আগামী ১ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশে আখাউড়া রেলওয়ে থানা গত ৩১ জানুয়ারী মামলাটির এফআইআর করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- সদর উপজেলার চান্দি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে নজু মিয়া (৪৫), নুরুল ইসলাম (৪৮), রেজেক মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (২০), মৃত হাজী আঃ হেকিমের ছেলে হানিফ মিয়া-(৫২), হানিফ মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া-(৩৫), নজু মিয়ার স্ত্রী নুরুন নাহার (৪০), রেজেক মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম- (৩৮) ও মৃত তাজুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর বেগম-(৩৮)।
মামলায় বলা হয়, আনুমানিক ২৪/২৫ বছর আগে ভিকটিম আমেনা বেগমের সাথে সদর উপজেলার চান্দি গ্রামের মরহুম ফজলু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তারা ৩ কন্যা এবং ১ ছেলের জনক-জননী।
আমেনা বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলামের সাথে আসামীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। সিরাজুল ইসলাম সরকারি চাকুরী করেন। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমেনা বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে আসামীরা আমেনা বেগমের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাকে বেদম মারধোরসহ শ্লীলতাহানি করে। আহত অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় আমেনা বেগম বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।-(মামলা নং- ২০, তাং – ০৬/০১/২০১৫)।
গত ৭ জানুয়ারী আমেনা বেগম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বামীর বাড়িতে আসলে আসামীরা তাকে উপহাস-অপমান করতে থাকে। তাদের উপর্যুপরি উপহাস অপমানে বিপর্যস্ত হয়ে আমেনা বেগম এক পর্যায়ে পুত্র কন্যাদের নিয়ে পিত্রালয় নরসিংসার গ্রামে চলে যায়। কিন্তু বাবার বাড়িতে গিয়েও তার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। আসামীদের অপমান ধিক্কারে তার মনে আরো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আমেনা বেগম গভীর রাতে বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে এসে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়টি গত ২৫ জানুয়ারী আখাউড়া রেলওয়ে থানাকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়। পরে গত ২৮ জানুয়ারী আমেনা বেগমের মাতা নূরজাহান বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আমেনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পরও পুলিশ রহস্যজনক কারনে আসামীদের গ্রেপ্তার করছেনা, অপরদিকে আসামী প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।






Shares