আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত- ২৫ ॥ ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পুরানো বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর ও থলিয়ারা গ্রামবাসীর মধ্যে। সংঘর্ষে চলাকালে ১৫টি দোকান এবং ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় কয়েকটি খড়ের গাদায় (বনের কুঞ্জ) অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নাটাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজঘর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফের সাথে একই ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আলী আজমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার ও শনিবার দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ঘটনার নিস্পত্তিকল্পে গত রবিবার রাতে নাটাই গ্রামের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষ আর সংঘর্ষে জড়াবে না বলে অঙ্গীকার করে।
সমঝোতার পরও গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে থলিয়ারা গ্রামের লোকজন অতর্কিতে রাজঘর গ্রামে হামলা করে। পরে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫টি ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রন করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ সংঘর্ষস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতান খানম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৫জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।