Main Menu

হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করুন : ২০ দলের প্রতি চেম্বার অব কমার্সের আহবান

+100%-

রোববার দুপুর ১২টায় মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, চেম্বার পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, কাজী জাহাঙ্গীর, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, মোঃ আল আমিন, শেখ আল মামুন আহমেদ, মোঃ রেজুয়ানুল হক, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূইয়া, মাসুদুর রহমান ভূইয়া, চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

লিখিত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক বলেন, গত ০৫ জানুয়ারী ২০১৫ খ্রিঃ তারিখে রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে ৬ জানুয়ার ২০১৫ খিঃ তারিখ থেকে দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল আহুত অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ সহ সময় সময়ে হরতাল চলছে। এই অবরোধ ও হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা ব্যবসায়ী সমাজ। অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সাধারণত ব্যাংক ঋন নিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। এসব কর্মসূচীর কারণে ব্যবসায়ীগণ ব্যাংক ঋনের সুদ দিতে পারতেছে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতে যেখানে একজন ক্ষুদ্র দোকানদার বিক্রি করত প্রায় ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, এখন অবরোধের কারণে বিক্রি হয় ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা। যার ফলে একজন বৃহৎ ব্যবসায়ী থেকে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও এই অবরোধের স্বীকার হচ্ছে।
আমরা যারা ব্যবসা- বাণিজ্য করি, আমাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই। আমাদের কোন দল নাই, আমাদের একটায় পরিচয় তা হলো আমরা ব্যবসায়ী। আমরা সব সময়, সব সরকারের আমলে এই অর্থনৈতিক বিধ্বংসী হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচীর বিরোধিতা করে আসছি। আমরা রাজনৈতিক দল সমূহকে হরতাল অবরোধের বিকল্প কর্মসূচী দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ জানিয়ে আসছি। কিন্তু জনগণ যে কর্মসূচী গ্রহণ করছে না রাজনৈতিক দল সমূহ সে- সব কর্মসূচীগুলো জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে এদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল থেকে দুর্বল হচ্ছে। যেখানে মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে এমনিতেই ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যবসা করছে সেখানে হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক ক্ষতিকর কর্মসূচীর দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিচ্ছে।
আমরা ব্যবসায়ীরা দিন রাত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছি এবং বেকার সমস্যা লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি সেখানে দেশের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে জনগণের কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল অবরোধে পেট্রোল বোমা নামক ভয়ানক অস্ত্র দুবৃর্ত্তরা ব্যবহার করছে। এর স্বীকার হচ্ছে নিরীহ জনগণ এবং পরিবহন খাতের শ্রমিক কর্মচারী। আমরা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত আবেদন জানাই। এসব পৈশাচিক বর্বরতা দিনের পর দিন চলতে পারে না, সর্বশক্তি দিয়ে এসব বর্বরতা দমন করা উচিত।
২ ফেব্র“য়ারী ২০১৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এস.এস.সি পাবলিক পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় প্রায় পোনে ১৫ লক্ষ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে। এসব শিক্ষার্থী আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই এই দেশ একদিন পরিচালনা করবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার বা স্থগিত করার জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে ২০ দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিনীত আহবান জানাচ্ছি।
আপনাদের মাধ্যমে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার বা স্থগিত করে বিকল্প কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য ২০ দলীয় নেতৃবৃন্দকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অপর দিকে সরকারকে অনুরোধ করব বিরোধীদল সমূহের সাথে আলোচনা পরিবেশ তৈরী করুন। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। বিরোধীদল সমূহ যেন হরতাল অবরোধের মতো ক্ষতিকর কর্মসূচী গ্রহণে নিরুৎসাহিত হয় সে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি






Shares