মাস্তানের ভূমিকায় চিকিৎসক : জেলা সদর হাসাপাতালে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
![+](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/plus.png)
![100%](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/100.png)
![-](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/minus.png)
প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসাপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত এমরান খান নামের এক চিকিৎসক দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি জরুরী বিভাগের কক্ষে প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদৎ হোসেন ও চ্যানেল নাইনের প্রতিনিধি আল-মামুনকে পেটাতে তাদের দিকে তেড়ে আসেন। গতকাল রোববার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে কর্মরত নাক, কান ও গলা বিভাগের ওই চিকিৎকের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়কের কাছে ঘটনার শিকার দুই সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রোববার দুপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মক আহত এক পুলিশ সদস্যের শারিরীক অবস্থার খোঁজ নিতে জরুরী বিভাগে গেলে চিকিৎসক এমরান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে সে তার কক্ষে থাকা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ও বেসরকারি ক্লিনিকের কয়েকজন দালালকে ডেকে এনে তাদেরকে (দুই সাংবাদিক) ধরে পেটাতে বলেন। পরক্ষণেই তিনি দুই সাংবাদিককে ধরিয়ে দিতে পুলিশ ডাকতে বলেন। পরে ওই সাংবাদিকেরা নিজেদের পেশাগত পরিচয় দেয়ার পরও সে অশোভন আচরণ করে এক পর্যায়ে তাদেরকে পেটাতে তেড়ে আসেন।
পরে ওই দুই সাংবাদিক স্থানীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের জানানোর পর সাংবাদিকেরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকবর হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তারা তত্ত্বাবধায়কের কাছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সহসভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি বলেন, চিকিৎসক এমরান এর আগেও আরও কয়েক সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিহ্নিত দালাল ও সন্ত্রাসিদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি এমন ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও বলেন তিনি।