Main Menu

আবহমান বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন ও পিঠা উৎসব- মোকতাদির চৌধুরী

+100%-

 

শতজাতের  পিঠা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেলা

ডেস্ক ২৪::সীমফুল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, মোগডালের পুলি, বাপা পুলি, ডিমের পিঠা, ডিমের পাক্কন, ছিটা পিঠা, মাংসের ছমচা, পাটি সাপটা, চিকন পিঠা, দুধ পলি, রিং পিঠা, আদা পোয়া, মেরা পিঠা, কলার তোর পিঠা, ফুল পিঠা, পাক্কন পিঠা,শামুক পিঠা, চুয়া পিঠা, মাল পোয়া। এমন শত রকমের পিঠা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথমবারের মতো বড়সর একটি পিঠামেলার আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মেলার উদ্ধোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।এসময় তিনি বলেন এই মেলা আবহমান বাংলার চিরকালীন ঐতিহ্য ধরে রাখবে। মেয়েরা যে সুন্দর কারুকাজ জানে তারও বহ্নিপ্রকাশ ঘটে এতে। পরে মেলা চত্বরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বতৃতা করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড.মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র হেলাল উদ্দিন,সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মহসীন মিয়া,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যাম অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ।
প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার বতৃতায় বলেন, ‘আবহমান বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন ও পিঠা উৎসব। এই সময়ে ঘরে ঘরে নানা রকম পিঠা তৈরি হতো। জামাইসহ অতিথিদের এসব পিঠায় আপ্যায়ন করা হতো। সে অবস্থা এখন আর নেই। পিঠা মেলা আমাদের সেই হারানো ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলবে আমার বিশ্বাস’।
মেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নারী উন্নয়ন ফোরাম সদস্যদের ১৪ টি ষ্টলে শতরকমের হাজারের বেশী  পিঠা প্রদর্শিত হয়। মেলায় সকাল থেকে ক্রেতাদের ভীড় ছিলো লক্ষনীয়। রাজনীতিবিদ,সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,সরকারী কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ মেলা পরিদর্শন করেন। বিকেলে ষ্টলের সৌন্দর্য,পিঠা পরিবেশনা ও জাত বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ ৩ ষ্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।






Shares