হরতাল পালিত হয়নি ॥ জামাত-শিবিরের ১৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার



সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামাতের নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ডের প্রতিবাদে জামাতের ডাকা হরতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পালিত হয়নি।
হরতালের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর এবং শহরতলীর কোথাও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। শহরের জীবনযাত্রা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন মার্কেটে দোকান পাট খোলা ছিল। স্কুল,কলেজ, অফিস-আদালত খোলা ছিল। ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শহরের অভ্যন্তরের প্রতিটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল করে। তবে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে দূরপাল্রার যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
এদিকে হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫ জন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী-গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, হরতাল উপলক্ষে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, নাশকতার আশঙ্কায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামাত-শিবিরের ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে শহর এবং শহরতলীর ৪১টি পয়েন্টে র্যাব পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।