রেললাইন মেরামত না হওয়ায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে
ডেস্ক ২৪: রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে নেওয়ার কারণে লাইনচ্যুত মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে রেললাইন মেরামত সম্ভব না হওয়া কার্যত বর্তমানে দেশের পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ। একই সাথে বিচ্ছিন্ন সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগও। ১৮ দলের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বুড়িচংয়ের রাজাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে লাইনচ্যুত হয় গোধূলী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ৫টি বগি। ওই স্থানে রেল লাইনের প্রায় ২০ ফুট পাত তুলে ফেলায় এ দুর্ঘটনার শিকার হয় আন্তঃনগর ট্রেনটি। এ সময় আহত হন ট্রেনের প্রায় শতাধিক যাত্রী। আহত যাত্রীদের কুমিল্লা সহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর রাতে পৌনে এগারোটার দিকে ঘটনাস্থলে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও স্বাভাবিক হয়নি রেল যোগাযোগ। কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচোড়া এলাকায় রেল লাইনের ফিশপ্লেট (প্রায় ২০ ফুট) খুলে ফেলায় গোধূলী এক্সপ্রেসের ট্রেনের ইঞ্জিন ও ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এ বিষয়ে রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী ইরফানুল ইসলাম জানান, রাত সোয়া ১০ টায় লাকসাম থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌনে এগারোটায় উদ্ধার কাজ শুরু করে। এছাড়া আখাউড়া থেকে আরো একটি উদ্ধারকারী ট্রেন রাত পৌনে বারোটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে লাকসাম জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. সহিদ উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ও বুড়িচং থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে রেলপথ ও ধর্ম মন্ত্রী মুজিবুল হক ও স্থানীয় সাংসদ এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। |