স্কুল-কলেজে বাড়তি ভর্তি ফি: দেখবে আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি স্কুল-কলেজে বাড়তি ফি আদায়ের বিষয়টি উচ্চ আদালতের ‘ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে’ থাকবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে একটি রিটে জারি করা রুলের আংশিক মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ এই রায় দেয়। আদেশে বলা হয়, বিষয়টি আদালতের পর্যবেক্ষণে থাকবে, তবে প্রতিকারের জন্য আবেদনকারীদের আদালতে আসতে হবে। সরকার সম্প্রতি নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে একটি নীতিমালা করে, যা পরে আবার সংশোধন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল ওই নীতিমালার বাস্তবায়ন না করায় বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্টের উপপরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এবং গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী একটি রিট দায়ের করেন। এর শুনানি করে ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট রুল জারি করে। অতিরিক্ত ফি নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। ওই রুল শুনানি শেষে আদালত রিটটিকে ‘কন্টিনিউয়াস মেন্ডামাস’ করে দিয়েছে। অর্থাৎ, এই রিটের অধীনে আবেদনকারীরা যে কোনো সময় আদালতে প্রতিকার চাইতে পারবেন। আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন এসএম রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান। আশরাফুল হাদী বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছে, কয়েকটি স্কুল অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং এটা সমন্বয় করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু এটা চলমান বিষয়। প্রতি বছরই এই সমস্যা দেখা যায়।” তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে তার ৯ ধারার ঢাকা মহানগর, অন্যান্য মহানগর এবং পৌরসভা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ফি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। “এ নীতিমালা না মানলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন পত্রিকায় বাড়তি ফি আদায়ের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা এই রিট আবেদন করি।” |