যৌন উত্তেজক জিনসিন বিক্রি, বিপথগামী শিক্ষার্থীরা, যুবকরা



এ পানিয়’র গুনগত মান কেমন,কোথায় উৎপাদন হয়,পান করলে শরীরের কতটুকু ক্ষতি হতে পারে,তার কিছুই বিবেচনা না করে যৌন ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত এ পানিয় পান করছে ছাত্র ও যুবকরা।এ সব পানিয়’র বোতলের গায়ে লেখা থাকে শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য,দৈনিক ৪০-৫০ মিঃ করে দুই বার,দিনে ২-৩ চা চামচ করে তিন বার সহ নির্দেশনা থাকলেও যৌন উত্তেজনার জন্য এক বোতল এক সাথে পান করছে। আবার পানীয়’র বোতলে মেয়াদ উর্ত্তীণ তারিখ ও লেখা থাকে না। জিনসিন পাওয়ার খেয়েছে এমন বেশ কয়েকজন যুবক ও ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ পানিয় খেলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় । এক ছাত্র বলেন, সিনিয়র এক বন্ধুর পাল্লায় পড়ে এ পানিয় পান করি তবে কি পরিমান খেতে হবে এ ব্যাপারে কারো ধারণা নেই। আমি নিজে ও জানি না কি পরিমান খেতে হয়। ফলে শারিরিক ভাবে নানান সমস্যা দেখা দেয়। জিন্টার নামের পানীয় পানকারী এক যুবক জানান, প্রথমে যৌন উত্তেজনা আসে পরে ধীরে ধীরে মাথা ব্যাথাসহ শরীর ঝিমঝিম করে। আর শরীরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কোম্পানির লোকজন এসে বলেন, ওইসব পানীয় যৌন উত্তেজনা বাড়ায়। বিক্রিতে কোন বাধা নেই। লাইসেন্স আছে।মেড্ডা পুরাতন বাস ষ্টেশন এলাকার স্থানীয় দোকানদার এর কাছ থেকে জানা যায়, প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে ছাত্র ও যুবকরা এ যৌন উত্তেজক পানিয় কিনে তার দোকান থেকে। প্রতিদিন কম হলে ও ৫০-৬০ বোতল জিনসিন বিক্রি হয়। শহর এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, যুবক ও ছাত্র সমাজতো আছেই, মাঝে মধ্যেই ছাত্রীদের জিনসিন ক্রয় করতে দেখে অবাক না হয়ে পারিনা। বিক্রি করাই আমার কাজ ফলে আমার করার কিছুই থাকেনা। জিনসিন পানিয়’র খুচরা মূল্য ৫০-৬০ টাকা। লাভ পাওয়া যায় বেশী। দৈনিক ৭০-৮০ বোতল বিক্রি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদ রোড, জগৎ বাজার, মধ্য পাড়া বাই পাস বাস ষ্ট্যান্ড, কাউতলি, কোট রোড, নিউ সিনেমা হল রোড কুমারশীল মোড় সহ প্রায় সব এলাকাতে প্রকাশ্যে এ পানিয় বিক্রি করা হয়। |