Main Menu

বিরামপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ

+100%-

প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী আলিম মাদ্রাসার ওই অধ্যক্ষ আব্দুল ছাত্তার খান কর্তৃক তার বাক প্রতিবন্ধী বড় ভাই ও স্ত্রী মারধর এবং শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত ২৫ জুন মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওই অধ্যক্ষের ভাতিজা ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ি মোনায়েম খান বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর আগেও গত ২০১০ সালে ওই অধ্যক্ষ বিরামপুর গ্রামের একটি হিন্দু পরিবারের জমি দখল করতে গিয়ে ওই পরিবারের পুরুষ ও নারীদের উপর শারিরিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি ১৫ দিন কারা ভোগ করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মা-বাবার একমাত্র ছেলে মোনায়েম খান ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় থাকেন এবং তার একমাত্র বোনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। মোনায়েম খানের বাবা বাক প্রতিবন্ধী আবুল হোসেন খানের পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি জবর দখল ও উচ্ছেদ করতে আব্দুল ছাত্তার খান তাদের একা পেয়ে শারিরিক নির্যাতন চালায়। মোনায়েম এর প্রতিবাদ করায় তাকেও একাধিকবার মারধর করা হয়। গত ২৫ জুন মোনায়েম তার চাচাকে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার কথা বললে চাচা ছাত্তার খান উত্তেজিত হয়ে দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে বাড়ির উঠানেই তার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে ছাত্তার খান মোনোয়েমের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। মোনায়েমকে বাঁচাতে তার মা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এসময় মোনায়েমের মা ফুলবানু বেগমের মাথার মধ্যভাগে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। শারিরিক নির্যাতন করা ছাড়াও তাদের বসতঘরে লুটপাট চালানো হয়।
মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) আতিকুর রহমান বলেন, ‘একাধিকবার অভিযান চালিয়েও আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ছাত্তার খান বলেন, ‘মাইরপিটের কোনো ঘটনা-ই হয়নি। দয়া করে আপনি যদি গ্রাম থেকে রিপোর্ট নেন তাহলে সত্য তথ্যটা পাইবেন।’






Shares