শামীম উন বাছির :ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার দিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। কাঠফাটা গরমে মানুষের হাঁপাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় এবং আকাশে হালকা মেঘ থাকার কারণে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সে বলা হয়েছে এ অঞ্চলে শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমতে পারে বলে বলে সবাই মনে করেন। রোববার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়েছে। গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। ভ্যাপসা এ গরমে মানুষজন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা প্রচন্ড ভাবে ভোগছে। প্রধান রাস্তাটি ট্রাফিক জ্যামের বা যানজটের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকে। কাজি পাড়া ও মৌলভী পাড়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত করত। বর্তমানে ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্হা না করে ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় স্কুলগামী শিশু ও মায়েরা টি এ রোড দিয়ে প্রচন্ড যানজটের মাঝ দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। শহরের কাজীপাড়া উঃ মোড়াইল ও সরকার পাড়ার লোকজন সকাল থেকেই পুরানো ব্রীজের রাস্তা দিয়ে অন্নদা স্কুল, সূর্যমূখী স্কুল, হাসপাতাল, থানায় যাওয়া আসা করতেন। ।এই অবস্হায় কাজ ছাড়া কেঊ ঘর হতে বের হতে চাচ্ছে না। জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সৃষ্ট এ গরমকে আবহাওয়াবিদরা স্বাভাবিকই মনে করছেন। বাতাসে আর্দতা বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মনে করেন। মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা বয়ো বৃদ্ধ হুমায়ুন সাহেব (৬২) বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসে গরম পড়ে। তবে গরম এবার একটু বেশি। আদ্রতার কারণে এ গরম সহ্য হচ্ছে না। বৃষ্টি হচ্ছে না বলেই গরম বেড়ে গেছে। প্রখর রোদ্রে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুৎের চাহিদা। মান্ধাতা আমলের ট্রান্সফমার ও নাজুক বৈদ্যুতিক লাইনের ও যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা সত্বেও বিদ্যুত বিভাগের আন্তরিকতার জন্য জনদুর্ভোগ অনেকটা কমেছে। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. আজাদ মিয়া বলেন, রোববার এখানে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকাল ৩টার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। আবহাওয়ার এমন রোদ্রমূর্তি অবস্থায় শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। গরমে ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে যাওয়াতে শরীরে ডি হাইড্রেশন সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানান, গরম বেশি দেখা দেওয়াতে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। এই গরমে শিশুদের নানা রোগ-বালাই দেখা দিতে পারে। তাই ঘন ঘন সেলাইন পান করা ও বেশি করে পানি পান করতে হবে। যাতে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া গ্লোকোজের ঘাটতি মিটতে পারে। শিশুদের প্রতি অধিক সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে স্বস্তির কথা শুক্রবার নাগাদ এখানে বৃষ্টি হতে পাড়ে।এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আকাশে মেঘ রয়েছে, একই সঙ্গে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় গরম বাড়ছে। তবে শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে এক-দুই দিন গরম কমতে পারে এবং জুনের মাঝামাঝি আবার গরম দেখা দিতে পারে। |