হালদারপাড়ায় এমপির অফিসে চুরের হানা, কাগজপত্র তছনছ



ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় তছনছ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকেলে শহরের হালদারপাড়ায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অফিসের কেয়ারটেকার দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি বাদী হয়ে রোববার বিকেলে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ত্যাগ করার পর বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা অফিস কক্ষের পেছনের বারান্দার গ্রিলের এসএস পাইপ ফাঁক করে অফিসে প্রবেশ করে। পরে তারা পেছনের দরজার ছিটকিনি ভেঙে বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে ও সভাপতির ব্যক্তিগত ড্রয়ার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে।
কার্যালয়ের ৪ নম্বর কক্ষে থাকা অফিসের কেয়ারটেকার দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি ও অফিসের পিয়ন মো. ছাদেকুল ইসলাম শব্দ পেয়ে সভাপতির কক্ষের দিকে গিয়ে দেখেন কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ। তখন অফিসের পিয়ন পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখতে পান গ্রিলের পাইপ ফাঁক করা। পরে তাঁরা অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ঘুরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।
পরে তাঁরা বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে জানালে সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অফিসে আসেন। এরপর সদর থানার পুলিশকে এ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
অভিযোগে থাকা সাক্ষী ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সুজন দত্ত বলেন, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ও সভাপতির কক্ষের জিনিসপত্র ও মালামাল তছনছ করা হয়েছে। তবে কোনো কিছু চুরি হয়নি। কারা এমন কাজ করেছে সেখানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা চলছে। অভিযোগটি কিছু সংশোধন করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’