স্ত্রী ও তাঁর আগের ঘরের সন্তানকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় স্ত্রী ও তার আগের ঘরের সন্তানকে হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় খালাস পেয়েছেন এক নারী।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. মঈন উদ্দীন আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফখর উদ্দিন আহম্মদ খান।
দণ্ড পাওয়া বাচ্চু মিয়া (৪২) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মাঝিসাইল গ্রামের প্রয়াত ফজলু মিয়ার ছেলে।
২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের মালিহাতা গ্রাম থেকে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী স্বরুপা আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে মারুফা আক্তারের (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় পরদিন স্বরুপার ভাই সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মো. হেলাল মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় বাচ্চু মিয়া ও তার আগের স্ত্রী তানজিনাকে আসামি করা হয়।
পিপি ফখর উদ্দিন বলেন, মামলার পর বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বাচ্চু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ভাত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্বরুপা ও মারুফাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন বাচ্চু।
২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই মো. আনিছ আল মাহমুদ দুইজনকে আসামিক করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন বলে জানান তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বাচ্চুকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখর উদ্দিন।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তানজিনাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বলে জানান তিনি।