সরকার দ্রুত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য সারা বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে —- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইয়া
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা দক্ষতা বিকাশ প্রশিক্ষণ উপজেলা পর্যায়ের সদর উপজেলার ১ম ব্যাচের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিবাসী পরিবার কল্যাণ শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইয়া। বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি জুম্মান আজিজ ইমা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ্, পৌর কাউন্সিলর হালিমা মুর্শেদ কাজল প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র ট্রেইনার মোঃ খালেকুজ্জামান ও ট্রেইনার মোঃ আওলাদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বদেশি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইয়া বলেন, পৃথিবীতে নারী- পুরুষের প্রায় সময়। অথচ দুনিয়ার মূল সম্পদের ১০০ ভাগের মাত্র ১ ভাগের মালিক নারী। নারীর গৃহস্থালি কাজের আর্থিক স্বীকৃতি কখনো দেওয়া হয়নি অর্থাৎ তা অর্থনৈতিক মূল্যে অদৃশ্যই থাকে। তিনি আরো বলেন, শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে যে শিল্প বিপ্লব হয়েছে, তার পেছনে মূল অবদান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে তাদের বিপ্লব। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের হাত ধরে সেসব দেশে বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণ এবং পরে বৃহৎ শিল্পের বিস্তার ঘটে।
সরকার দ্রুত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য সারা বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিল্পায়নে নারী এবং সব শ্র্রেণীর উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ ও জাতীয়পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় এগিয়ে নেয়া এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, ১২ থেকে ১৭ মার্চ সদর উপজেলায় এবং ১৯ থেকে ২৪ মার্চ কসবা উপজেলায় ট্রেনিং প্রদান করা হবে।