ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
শফিকুল আলমের বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম উদাহরণ। তাই এই বিজয় আওয়ামীলীগ সরকারের বিজয়–মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এড. মোঃ ছায়েদুল হক এমপি



ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভালোবাসায় আমি আজীবন ঋণী ও কৃতজ্ঞ থাকবো—নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল আলম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী, নাসিরনগর থেকে নির্বাচিত ৫ বারের সংসদ সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, জননেতা এড. মোঃ ছায়েদুল হক এমপি বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলার মানুষের প্রকৃত নেতা ছিলেন। “বঙ্গবন্ধু” উপাধী পাওয়ার আগে আমরা তাকে মুজিব ভাই নামে ডাকতাম। সকলেই তার সাথে সহজ ভাবে মিশতে পারতো। তাঁর কোন অহংকার ছিলোনা। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নই ছিলো তাঁর রাজনৈতিক দর্শন। প্রধান অতিথি সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে আহবান জানান। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নেত্রীই নন। তিনি আজ বিশ্ব নেত্রী। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন শফিকুল আলম আওয়ামীলীগেরই লোক, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের রোষানালে পড়েই তিনি আজ দলীয় পদ বঞ্চিত এবং বাধ্য হয়েই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের নির্বাচন করেছেন। তাঁর এই বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম উদাহরণ। তাই এই বিজয় আওয়ামীলীগ সরকারের বিজয়। বক্তব্যে তিনি আক্ষেপ করে বলেন অতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেক এমপি হয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের মত বিশৃংখল পরিবেশ আর কখনো হয়নি। তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি গতকাল ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত জেলা সম্মিলিত নাগরিক সমাজ এর উদ্যোগে আয়োজিত জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফিকুল আলম (এম.এস.সি.) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্যবৃন্দের বর্ণাঢ্য নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথা বলেন। অত্যন্ত জাকঝমকপূর্ণ এ আয়োজনে জেলা নাগরিক সমাজ এর সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী তাজ মোঃ ইয়াছিন এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এড. জিয়াউল হক মৃধা এম.পি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস মিনারা আলম, অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু।
সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা চন্দন কুমার ঘোষ এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কার্যকরি সদস্য প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এড. মোঃ কাউছার আহমেদ, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. শাহনুর ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হালিম শাহ লীল মিয়া প্রমুখ। সভায় সংবর্ধীত অতিথিকে মানপত্র প্রদান করেন জেলা নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল মিয়া।
এসময় সংবর্ধীত হয়ে জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফিকুল আলম (এম.এস.সি.) অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন “আজ যে ভালোবাসায় সিক্তকরে আপনারা আমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন তার জন্য আমি আজীবন আপনাদের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ থাকবো। অতিতেও আমি নানান প্রতিকুলতা সত্ত্বেও আপনাদের সাথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও আমার সাধ্যনুযায়ী আপনাদের পাশে থকাবো। দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের দ্বার উম্মুক্ত। আপনার নিসংকোচে আমার কাছে আসবেন”। সভায় বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার দলীয় নেতা কর্মীসহ মুক্ত মঞ্চের ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ সাধারণ জনতা নিয়ে আনন্দ মিছিলসহ কারে অংশ গ্রহন করেন।