বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিতাস নদীর পানি



প্রতিদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদ-নদীর পানি তীব্র গতিতে বাড়ছে। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী, মৌলভী বাজারের মনু ও হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং টানা বৃষ্টির পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিতাস নদীর পানি ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) রঞ্জন কুমার দাস জানান, তিতাস নদীর পানি ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে আখাউড়ার তিতাস নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার, নবীনগর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার, সরাইলের আজবপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কুরুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার এবং গোকর্ণঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার নিচে আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরাইল ও নাসিরনগরের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নগদ টাকা এবং চালসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। জেলা প্রশাসনের টিম প্রস্তুত রয়েছে।