পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা—বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী



বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন- শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করতে হবে। এর সাথে জড়িত রয়েছে দেশের ইসিহাতি-ঐতিহ্য। তিনি বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দেশের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্যের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য মৌলবাদী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন অপশক্তি তৎপর রয়েছে।
তিনি সোমবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ, বাংলাদেশে পর্যটনে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তাকরণ সংক্রান্ত’ জেলা পর্যায়ে অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া’কে সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন- ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশীয় রাগ-সঙ্গীতকে সমস্ত বিশ্বে পরিচিত ঘটিয়েছিলেন। সেই মহান সঙ্গীত তাপসের জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুরে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে রয়েছে তার নিজস্ব বাসভবন। যেখানে তিনি রাগ-সঙ্গীতের চর্চা করতেন। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তিতাস নদীকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হতে পারে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন- এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন সম্ভাব্যতা যাচাই করে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠালে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের পরিচালক বাবু। অন্যান্যের মাঝে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার জীবন, নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন, নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকুরি করতে এসে আমরা ব্যাপকভাবে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। এখানকার শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির রয়েছে ব্যাপক সুনাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধপ্রস্তুতি পর্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লগ্নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিল এক ঐতিহ্যম-িত রণদীপ্ত রনাঙ্গন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে অনেক প্রতœসম্পদ, ঐতিহাসিক চিহ্ন এবং তৎকালীন জমিদারদের স্থাপত্য-সৌন্দর্যম-িত অনেক স্থাপনা। এগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে অনেক পর্যটন স্পট। এরই সাথে তিতাস নদী ও হাওড়কে ঘিরে স্থাপিত হতে পারে নান্দনিক রিভার ট্যুরিজম। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে পারে দেশের অন্যতম ট্যুরিজম এলাকা।