চলে গেলেন ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী



সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
বিএসএমএমইউ এর অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইসিইউ-এর দায়িত্বরত প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাপ্পিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ৩১২ নম্বর ক্যাবিনে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর ভাই শওকত ওসমান জানান, বাপ্পীর মরদেহ প্রথমে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে তার বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে যোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিক। তার মৃত্যুতে বিরাট সম্পদ হারাল আওয়ামী লীগ।’
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপ্পী খুবই বুদ্ধিমতী ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সৎ ছিলেন। তার মতো মানুষের মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতি।’
বাপ্পির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ এবং ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরীসহ অনেকে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বেও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাপ্পি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইক পাড়ায়।