খিস্তি-খেউর যদি ভদ্র লোকের ভাষা হয়ে থাকে তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এর বিচার করবে- মোকতাদির চৌধুরী এমপি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন বর্তমান সরকার ২৫ মার্চের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসাবে ঘোষনা দিয়ে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। এইজন্য আমি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ,গণহত্যা দিবসের প্রস্তাবকারী জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা এমপি সহ জাতীয় সংসদের সকল সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করলেও আশা করছি আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পালন করতে পারবো।বাঙ্গালী অনাদিকাল ধরে গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণ করবে। আমরা যতো বেশী তাদের স্মরণ করবো ততো বেশী পাক খুনীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উচ্চারণ করবো। এভাবেই আমরা উন্নত জাতিতে পরিনত হওয়ার জেদ করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন,একদল নিষ্কর্মা মানুষ আছে সমাজে যাদের কাজই হচ্ছে অপরকে গালমন্দ করা। তেমনি লোকেরাই ২৩ মার্চ সংবর্ধনার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খিস্তি-খেউড়ের মহোৎসব করেছে।খিস্তি-খেউর যদি ভদ্র লোকের ভাষা হয়ে থাকে তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এর বিচার করবে।আমাকে সেদিন যেভাবে খিস্তি-খেউড়ের মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়েছে আমি ভদ্র লোকের সন্তান হওয়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে ভদ্রতার সীমা ছাড়াতে পারি না।তিনি আরো বলেন,যারা যুদ্ধ না করেই মুক্তিযোদ্ধা তারাই কেবল অপর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অশালিন বক্তব্য দিতে পারেন।আমাদের সাথে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা চায় না ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকা মার্কায় প্রার্থী না আসুক। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।যারা সন্ত্রাসী,ভূমি দস্যুতা,দুর্ণীতিতে নিমজ্জিত ছিলো আমি এমপি হওয়ায় সেইসব অপরাধীদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। তাই তারা আমাকে যেকোনো মূল্যে সরাতে চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন,আগামী নির্বাচন হবে অনেক কঠিন পরিবেশে। অবাধ-নিরপেক্ষতার উদাহরণ সৃষ্টি হবে এ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে নৌকা যে কেউ নিয়ে আসলেই চলবে না। এখানে প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা-গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নও আসবে।তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে খিস্তি-খেউড় ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন,চলমান নৌকা থেকে দু,একজন ছিটকে সাগরে পড়ে গেলে নৌকার কোনো অসুবিধা হয় না।
শনিবার বিকালে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক গণজমায়েত ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে হাজার-হাজার ছাত্র,যুবক,নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে যোগদান করেন।
জেলা আওয়ামীলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার,জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.আখতার হোসেন সাঈদ,জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক শফিকুর রহমান শহিদ,জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড.কাজী মাসুদ আহদে,জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,মো.হেলাল উদ্দিন,মুজিবুর রহমান বাবুল,যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন,অর্থ সম্পাদক মহসিন মিয়া,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার,সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,বিজয়নগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এড.তানবীর ভূঞা,শহর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গাজী রতন মিয়া,জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোয়ারাহ,জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস,জেলা কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুর রহমান শরীফ,জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক চৌধুরী,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন হোসেন,যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি,জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ,শহর যুবলীগ আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি।