হেফাজত ক্যাডারদের হামলায় আহত প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি



রবিবার হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করেছে হেফাজতের কর্মী ও সমর্থকরা। এরআগে প্রেস ক্লাবের সিসি ক্যামেরা খুলে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার খবর পেয়ে প্রেস ক্লাবে ছুটে আসার পথে হামলা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর। ‘তুই প্রেস ক্লাব সভাপতি, তুই আওয়ামীলীগ’ বলে তাকে প্রথমে রাম দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়া হয়। সেটি লক্ষ্যচুৎত হলে আরেকজন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। খবর পেয়ে আশপাশের সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ সময় তার মাথায় ৬টি সেলাই দিতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হেফাজতের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে একজন রামদা হাতে তাকে কোপানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও আরো কয়েকজন তাকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করার ঘোষনা দেন। এ সময় জামি চলে আসতে চাইলে পেছন থেকে একজন মাদ্রাসা ছাত্র তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এসময় ফিনকি দিয়ে তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে থাকে। পরে উপস্থিত দৈনিক দেশের মফিজুর রহমান লিমন, এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান পলাশ, এনটিভির ক্যামেরাপার্সন মোঃ সাইফুল, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপার্সন প্রকাশ দাস, তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অন্যান্য সহকর্মীরাও তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।