ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন :: অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করলেন ৮ পরিচালক
ডেস্ক ২৪:: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগে শনিবার (১৫ জুলাই) অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন বর্জন করেছেন সংগঠনটির ৮ জন পরিচালক। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়।
সম্মেলনে পরিচালকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে চেম্বারের পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি দেখিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, চেম্বার অব কমার্স অ্যন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রায় দুই হাজার সদস্য থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪৮৪ জনকে নবায়ন করে বৈধ ভোটার হিসেবে বিবেচনা করে নির্বাচন করা হচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শনিবার নির্বাচনের কথা রয়েছে। আর সদস্যদের সদস্যপদ নবায়নের সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ১৮ মে। কিন্তু অধিকাংশ সদস্যের অভিযোগ সদস্যপদ নবায়নের জন্যে তাদের চিঠি দেয়া হয়নি এবং স্থানীয় কোন দৈনিক পত্রিকায়ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। এর ফলে প্রায় দেড় হাজার সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক গত ১৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ও সংগঠনের পরিচালক তানজিল আহমেদের পক্ষের আইনজীবির উপস্থিতিতে শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত নির্বাচন বিষয়ে আগামী ১১ আগস্ট ফুল বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এ অবস্থায় বিষয়টি যেহেতু সাবজুডিশ (তদন্তাধিন) সেহেতু নির্বাচন করা সমুচিত নয় বলেও আমরা মনে করি। তাই আমরা চেম্বার অব কমার্সের সচিবকেও নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছি।
এ অবস্থায় আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। গণতান্ত্রিক পন্থা ছাড়া স্বেচ্ছাচারিতার নির্বাচন আমরা কখনোই মেনে নিবো না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মিসেস নায়ার কবির সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের ব্যাপারে মহামান্য আদালতের কোন স্থগিতাদেশ নেই, তাই শনিবার যথারীতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের পরিচালিক মোজাম্মেল হক, মো. কামাল মিয়া, মাসুদুর রহমানসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।