ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারকে নতুন উদ্যমে কাজ করে আরো গতিশীল করতে হবে —মোকতাদির চৌধুরী এমপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম অধিবেশন বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ২০১৬ইং সনের অর্ডিট রিপোর্ট পেশ করেন উর্ধ্বতন সহ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল। ২০১৭ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম। বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
চেম্বার পরিচালক রেজওয়ানুল হক মনি এবং মোমিনুল আলম বাবুর পরিচালনায় পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ জালাল উদ্দিন এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন প্রশান্ত চৈতন্য দাস। দ্বিতীয় অধিবেশন দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিকে নতুন উদ্যমে কাজ করে আরো গতিশীল করতে হবে। আমি চেম্বারকে একটি সুন্দর পরিবেশ করে দিতে চাই। শহরের যানজটের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের সৎ প্রতিযোগিতা করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসায়ীদেরকে সবসময় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে। আমি ব্যবসায়ীদের সাথে অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। চেম্বার নেতারা তাদের যোগ্যতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ ব্যক্ত করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপনী ঘোষণা করা হয়।