ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
করোনা মহামারী শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হলেও বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর উদ্যোগে ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে “করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লিটন দাস এ মন্তব্য করেন। সনাক সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান রাখার জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনাসমূহ যথাযথ বাস্তবায়ন এবং করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকবৃন্দ অনলাইন ও মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় টিআইবি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ আতিকুর রহমান করোনাকালীন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সরকার কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন উদ্যোগ এর কথা তুলে ধরেন। তিনি এসময় বলেন, বর্তমানে সংসদ টিভিতে চলমান শিক্ষা কার্যক্রম সকল শিক্ষার্থীদের নিকট পৌছানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান মোঃ রেজাউল করিম, সনাক সহ সভাপতি আবদুন নূর এবং সনাক এর শিক্ষা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য প্রকৌঃ আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ। মতবিনিময় সভায় বক্তারা করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় শিক্ষা কার্যক্রমকে চলমান রাখা প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন। তাঁরা করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক সংকটে স্থানান্তর এবং স্থানান্তরীত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে পাঠদান পদ্ধতি এবং শিক্ষকবৃন্দের অনলাইন প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এই মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (উন্নয়ন), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সনাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং টিআইবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও কর্মীবৃন্দ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি