ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান। তিনি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান ডিসি মো. শাহগীর আলমকে স্থানীয় সরকার বিভাগে উপসচিব হিসেবে বদলির প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে ইসি। রোববার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক পদে যোগদান করেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এর আগে ওই বছরেরই ৭ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ অধিশাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদানের পর তাকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ই-নথি কার্যক্রমে কিশোরগঞ্জ জেলা ঈর্ষণীয় কৃতিত্ব দেখায়। কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি উপজেলা সারাদেশে প্রথম হয়।
এছাড়া করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও চালু রাখার ক্ষেত্রেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ২০৪১ এ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আইসিটি এ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০ লাভ করেছেন।
একজন সৎ, দক্ষ ও উদ্যমী কর্মকর্তা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের আগে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শেরপুর সদর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২২ সালে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে অবদানের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার লাভ করেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।